Monday, August 3, 2020

হিপনিক_জার্ক

#হিপনিক_জার্ক
🔴ঘুমের মধ্যে কেঁপে ওঠেন?
  ঘুমের মধ্যে আচমকা ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’ বলা  হয়।
সকলের সঙ্গে না ঘটলেও বিশ্বের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষের সঙ্গেই একই রকম ঘটনা ঘটে থাকে। সব ক্ষেত্রে এটাই মিল যে, সবাই অনুভব করে থাকেন তারা যেন পড়ে যাচ্ছিলেন- এমন কিছু।স্বপ্নের মধ্যে কোনো পাহাড় বা সিঁড়ির উঁচু ধাপ থেকে পড়ে যাওয়ার ভয়ে শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়ার নামই হলো হিপনিক  জার্ক।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই ঝাঁকুনিকে বলা হয় হিপনিক জার্ক (Hypnic jerk)। এই ঝাঁকুনির ভিন্ন ভিন্ন নামও রয়েছে। যেমন- স্লিপ স্টার্ট (Sleep Start), মাইওক্লোনিক জার্ক (Myoclonic Jerk), হিপ্নাগোগিক জার্ক (Hypnagogic Jerk) প্রভৃতি। 

হিপনিক জার্কের কারণসমূহ–

১.অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফেইন বা চা-কফি জাতীয় পানীয় গ্রহণ।
২.অতিমাত্রায় শারীরিক ব্যায়াম।
৩.রাতে স্ট্রেসফুল কোনো কাজ করলে।

৪.রাত জেগে টিভি দেখা বা মোবাইল অথবা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর ফলে স্নায়ুর ক্রমাগত পরিবর্তনে শরীরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞানের ভাষায় একে নারকোলেস্পি বলে।

৫.রোজ ঘুমানোর সময়ের অনিয়ম বা রাত জাগার বদভ্যাস, ওভার টায়ার্ডনেস বা অতিরিক্ত খাঁটুনী এই সমস্যাগুলো থেকেও হিপনিক জার্ক হতে পারে।

৬.উঁচু কোনো স্থান বা পাহাড় চূড়া থেকে অথবা সিঁড়ি থেকেও পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখার ফলে আমরা নড়েচড়ে উঠি ঘুমের মাঝে।
৭.শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের অভাবেও স্বতঃস্ফূর্ত হিপনিক জার্ক হতে পারে।
৮.এছাড়া বাইরের জোরে কোনো শব্দ ও চড়া আলো চোখে এসে পড়লেও আমাদের পড়ে যাওয়া অনুভূতি টের হতে পারে। ঠিক তখনই মস্তিষ্ক শরীরকে ধরে রাখতে নাড়া দিয়ে জাগিয়ে দিতে চেষ্টা করে। 
৯.শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাস্‌ল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু, মস্তিস্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান ঠাহর করতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শরীরে ঝাঁকুনি হয়।

🔴হিপনিক জার্ক থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়:-

নিকোটিন বা ক্যাফিন জাতীয় উদ্দীপক গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া, ঘুমানোর আগে শারীরিক পরিশ্রম এড়ানো এবং পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে হিপনিক জার্ক হ্রাস করা যায়। কিছু ঔষুধ হিপনিক জার্ক হ্রাস করতে বা দূর করতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, শোবার সময় অল্পপরিমাণ ক্লোনাজেপাম গ্রহণ। এছাড়াও, কিছু লোক এই হিপনিক জার্কে একটি স্থিরতা তৈরি করতে পারে যার ফলে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে আরো উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়। এই বর্ধিত উদ্বেগ এবং ক্লান্তি হিপনিক জার্কের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।যদিও, কিছু মানুষ একে শারীরিক অসুবিধা ভেবে ভয় পান। তবে, চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই। কারণ, অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনাপ্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়। জার্ক কোনো রোগ নয়। নিয়ম মেনে চললে বারবার এমন হওয়া থেকে অবশ্যই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বয়স বাড়ার সাথে সাথে হিপনিক জার্ক ঘটার সম্ভাবনা কমে যায়। হিপনিক জার্কের কোনো নির্দিষ্ট পথ্য নেই। তবে কারও বেলায় ঘন ঘন এই সমস্যা হতে থাকলে তাকে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেয়া প্রয়োজন। জীবনযাত্রা পরিবর্তন,নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও চাপমুক্ত থেকে ব্যস্ততম সময়কে উপভোগ করতে পারলে খুব সহজেই হিপনিক জার্ক থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

Tuesday, July 14, 2020

সাপ সমাচার ৩(জলঢোড়া) 👉নাম: জলঢোড়া

সাপ সমাচার ৩(জলঢোড়া)

👉নাম: জলঢোড়া(checkered keelback)

👉বিষের ধরন:নির্বিষ ( Non venomous) 
👉চেনার ধরন ও স্বভাব:
বহুল পরিচিত একটি সাপ এই জলঢোড়া।জলঢোড়ার পছন্দসই আবাসস্থল মিঠা পানির হ্রদ বা নদীগুলির নিকটে বা এর নিকটে।জলঢোড়া একটি মাঝারি আকারের সাপ, তবে এটি বড় হতে পারে। প্রাপ্তবয়স্করা 1.75 মিটার (5.7 ফুট) হতে পারে।
বেশিরভাগ সময় এই সাপটি যতটা সম্ভব মাথা বাড়ানোর চেষ্টা করে এবং ঘাড়ের ত্বকটি একটি কোবরা হুডের নকল করে এবং হুমকিকে ভয় দেখায়।

খাবার হিসেবে সাধারনত মাছ ব্যাঙ খায়।

এদের রাগ অনেক বেশি সেজন্য খুব দ্রুত কামড় দিয়ে মাংস পযন্ত ছিড়ে নেয় কিন্তু বিষাক্ত নয়।এদের দ্বারা কামড়ের সংখ্যা অনেক বেশি বিশেষ করে পানি প্রবণ এলাকায়

 ★রেফারেন্স :Orlov NL (1994). "Caudal Autotomy in Colubrid Snake Xenochrophis piscator From Vietnam" Russian Journal of Herpetology 1 (2): 169-171.

👉সাপের দংশনের শিকার হলে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের পরামর্শ অনুযায়ী যা করণীয় তা হলো:
★শান্ত থাকুন এবং অতিদ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করুন।
★শরীরের যে স্থানে সাপ কামড়েছে সেটি যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করুন। ঘড়ি বা অলঙ্কার পড়ে থাকলে তা খুলে ফেলুন।
★কাপড়ের বাঁধ ঢিলে করুন, তবে খুলবেন না।
★বাংলাদেশের হাসপাতাল গুলোতে সাধারনত রাসেল ভাইপার বাদে অন্যান্য বিষাক্ত সাপের এন্টিভেনম পাওয়া যায়।

👉নিম্নবর্তী কোনো পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করবেন না:
★কামড়ের স্থান থেকে চুষে বিষ বের করে আনার চেষ্টা করা
★কামড়ের স্থান আরো কেটে বা সেখান থেকে রক্তক্ষরণ করে বিষ বের করে আনার চেষ্টা করা
বরফ, তাপ বা কোনো ধরনের রাসায়নিক কামড়ের স্থানে প্রয়োগ করা।
★আক্রান্ত ব্যক্তিকে একা ফেলে যাওয়া
কামড়ের স্থানের গিঁটের কাছে শক্ত করে বাঁধা। এর ফলে বিষ ছড়ানো বন্ধ হবে না এবং আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গুও হতে পারেন।
★বিষধর সাপ ধরা থেকেও বিরত থাকা উচিত। এমনকি মৃত সাপও সাবধানতার সাথে ধরা উচিৎ, কারণ সদ্যমৃত সাপের স্নায়ু মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পরও সতেজ থাকতে পারে এবং তখন তা দংশন পারে।

#loveanimal
#SaveAnimal

Friday, July 10, 2020

পিতার হাতে ছেলে খুন male hippos are infanticide

Male Hippos are infanticide 🦛

একবার ভাবুন তো, জলহস্তী পরিবারে ২৪৩ দিন 

গর্ভধারণের পর একটা শিশু জলহস্তীর জন্ম। কিন্তু ছেলে সন্তান হলেই বাড়ে যত বিপত্তি। পিতার হাতে ছেলে খুন। এমন ভাবনায় পরিবারের বাকি সদস্যরা সন্তানকে সারাক্ষণ পাহাড়ায় রাখে, যাতে বাবা তার সন্তানকে হত্যা করতে না পারে। আর বাবা সারাক্ষণই সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। একটা ছোট সুযোগই যথেষ্ট; বাবার বিশালাকৃতি মুখের ১ ফুট লম্বা তীক্ষ্ণ দাঁতের আঘাতে সন্তানকে হত্যা করার জন্য। 

কিন্তু বাবার হাতে ছেলে খুনের কেনো এই নৃশংসতা?

ডাঙ্গায় থাকা প্রাণীদের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম প্রাণী হচ্ছে জলহস্তী। তৃণভোজী এই প্রাণীর ওজন, ১৩০০-১৮০০ কেজি পর্যন্ত হয়। এদের এক একটি দলে ৬-১০ টি পর্যন্ত সদস্য থাকে। যাদের মধ্যে একটিই মাত্র পুরুষ সদস্য। বাকিসব নারী সদস্য। পুরুষ সদস্যটি তার হেরেমে কখনো অন্য পুরুষকে আশ্রয় দিতে চায়না। কারণ, সে কখনো তার রাজত্ব হাতছাড়া করতে চায়না। পরিবারে কণ্যা সন্তানের জন্ম হলে পরম মমতায় সে বড় হয়। আর ছেলে সন্তানের জন্ম মানেই তার রাজত্বের জন্য হুমকি। তাই পুরুষ সদস্যটি সুযোগ পেলে ছেলে জন্মের পরপরই হত্যা করে ফেলে। তবে ছেলে সন্তানটি যদি বাবার পায়ে পড়ে বশ্যতা স্বীকার করে, তখন কোন কোন ক্ষেত্রে বাবা তাকে হত্যা করে না। তবে সবসময়ই সতর্ক থাকে। রাজ্যের জন্য হুমকি মনে হলে মৃত্যু ব্যাতিত অন্য কোন পথ নেই।

তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছেলে সন্তানটিকে লুকিয়ে বড় করার চেষ্টা করে। তবে সেজন্য ২৪ ঘন্টাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এক সময় সন্তান যখন পরিনত হয়, তখন সে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তখন পিতা ও সন্তানের মাঝে জীবন মরন লড়াই হয়। সেখানে মৃত্যু বা পরাজয় বরণ করে মৃতপ্রায় হয়ে দলত্যাগ ব্যাতিত ভিন্ন কোন সুযোগ নেই।

প্রকৃতিতে আরো কিছু প্রাণীদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা গেলেও জলহস্তীদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

কার্তেসীঃ Animal Welfare Society of SAU
#সংগৃহীত

Tuesday, July 7, 2020

মস্তিষ্কের ক্ষতি করে যে ১২ টি অভ্যাস।



মস্তিষ্কের ক্ষতি করে যে ১২ টি অভ্যাস।

১| সকালে ব্রেকফাস্ট না নেওয়াঃ- স্বাস্থ্য সচেতনে পাশ্চাত্যের মানুষেরা হেভি ব্রেকফাস্ট করেন। কারন তারা জানেন, রাতে ঘুম দিয়ে সকালে ওঠার পর 'ব্রেকফাস্ট' নিতে কম বেশি দশ ঘন্টা সময় কেটে যায়। এই দীর্ঘ সময় উপোস থাকার ফলে রক্তে 'সুগার' বা শর্করার পরিমান কমে যায়। রক্তে সুগার কমে যাওয়ার অর্থ মস্তিষ্ক-কোষে পুষ্টির জোগান বিঘ্নিত হওয়া।
 
শহুরে বাঙালিদের অনেকের চা বিস্কুট  খেয়ে ব্রেকফাস্ট সারার অভ্যাস আছে, যেটা মস্তিষ্কের পক্ষে ক্ষতিকারক।

২| বেশি খাওয়াঃ- বেশি খেলে মানসিক শক্তি কমতে থাকে।

৩| ধূমপানঃ- অতি ধূমপান মস্তিষ্ক কোষকে সঙ্কুচিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম কারন। যা আলজাইমারস রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

৪| অতি মাত্রায় ব্লাডসুগারঃ ব্লাড সুগার দীর্ঘকাল ধরে বেশি থাকলে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের  ক্ষতি করে; স্নায়ুকোষে প্রোটিন ও পুষ্টিকর যৌগ পৌছাবার ক্ষেত্রে বড় বাধা ব্লাডসুগার।

৫| বায়ু দূষণঃ দূষিত বায়ুতে  অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়, ফলে এটার অভাবে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।

৬| ঘুম কমঃ- ঘুম মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষগুলোকে  বিশ্রাম দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে কম ঘুম হতে থাকলে মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষগুলো দ্রুত মরতে থাকে।

৭| ঘুমের সময় মাথ ঢেকে শোওয়াঃ-  অক্সিজেনের অভাবে চাদরের ভিতরে ক্ষতিকর কার্বনড্রাই অক্সাইডের পরিমান বেড়ে যায়, যা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারন।

৮| অসুস্থ অবস্থায় বেশি কাজঃ- এসময়  স্বাভাবিক রকমের সক্রিয় থাকে না। ফলে জোর করে কাজ করলে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। 

৯| অনেক রাতে ঘুম, অনেক বেলা করে উঠাঃ- রাত 9 টা থেকে রাত এগারোটায় শরীরের অপ্রয়োজনীয় "টক্সিন"কে "এন্টিবডি সিস্টেম" "ডি-টক্সিফিকেশন" এর কাজ করে। এই সময় রিলাক্স বা বিশ্রাম অবস্থায় থাকলে "ডি-টক্সিফিকশন" এর কাজ ভালোভাবে হওয়ার সুযোগ পায়। তাই রাত ১০ টার মধ্যে শুয়ে পড়ার অভ্যাস অত্যন্ত জরুরী। অবশ্য যকৃত ও মস্তিষ্ককে ঠিক রাখতে চাইলে।

১০| মস্তিষ্ককে অতি মাত্রায় কর্মহীন করে রাখাঃ- অলস মস্তিষ্ককে একেবারে কর্মহীন না করে, চিন্তাশীল কাজে সময় অতিবাহিত করতে হবে।

১১| খুব কম কথা বলাঃ-  সব সময় একটানা জড় বস্তুর মত চুপচাপ থাকলে, স্নায়ুকোষ কাজ বিমুখ হয়ে পরে।

১২| মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করার অভাবঃ- কিভাব মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করা যায় সে উপায় বের করতে হবে; তাহলে স্নায়ুকোষকে অধিক মাত্রায় সচল রাখা সম্ভব।

#collected

★কেন মোটা হয় মানুষ?

★★কেন মোটা হয় মানুষ?

অতিরিক্ত খাবার তো অবশ্যই প্রধান সমস্যা। এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডা. দেবমাল্য সান্যাল বলছেন, ‘‘আপনি যদি সৃষ্টির
 একেবারে গোড়ার দিকের কথা চিন্তা করেন, তা হলে দেখবেন, মানুষের জীবনে কখনওই খাবারের প্রাচুর্য ছিল না। আদতে আমরা ছিলাম শিকারি, আর ফল-মূল সংগ্রহ করতাম।’’ তার অনেক পর চাষবাস শুরু হয়। শিকার সর্বক্ষণ হাতের কাছে থাকবে না, মাইলের পর মাইল ঘুরেও কিছুই না পাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। চাষবাসও সব বছর সমান হয় না। অর্থাৎ খাদ্য জোটানোর জন্য আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করার কথা, তার পরেও যে রোজ পাওয়া যাবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই। তাই খাবার প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলেই শরীর সেটাকে মেদ হিসেবে জমিয়ে রাখবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনও অভাবে পড়তে না হয়।

তার উপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র সমীক্ষায় প্রকাশ, ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে নাকি এশিয়ার মানুষ অন্যদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছে। কিছু বিজ্ঞানী বলেন, মাতৃগর্ভে যে সব শিশু অপুষ্টির শিকার হয়, তাদের শরীরে ফ্যাট জমিয়ে রাখার একটা প্রবণতা তৈরি হয়ে যায়। এখন হয়তো পরিস্থিতি খানিকটা উন্নত হয়েছে, কিন্তু বছরকয়েক আগেও এই মহাদেশের বহু গর্ভবতী অপুষ্টিতে ভুগতেন এবং এঁদের সন্তানদের ওবেসিটি হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকত। আর একদল গবেষকের ধারণা, যেহেতু এশিয়ার বাসিন্দারা হাজার হাজার বছর প্রায়-দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থেকেছে, তাই আমাদের শরীর খাবারের প্রাচুর্য একেবারেই নিতে পারে না। ‘‘এক তো এই থ্রিফটি জিনের কল্যাণে অ্যাবডমিনাল অ্যাডিপোসিটির আশঙ্কা, তার উপর আছে আধুনিক জীবনের স্ট্রেস, কম পরিশ্রমের মতো সমস্যাগুলো। আমাদের মা-ঠাকুমারা ছোট থেকেই স্নেহ দেখাতে গিয়ে ঠেসে খাবার খাওয়ান, বাচ্চাদের খেলাধুলো নয়, লেখাপড়ায় বেশি উৎসাহ দেওয়া হয়। এখন আবার যোগ হয়েছে আধুনিক জীবনযাত্রার নানা সুবিধের দিক। ফলে পরিস্থিতি বেশ জটিল,’’ মেনে নিচ্ছেন হেনা।

শহরাঞ্চলে বসবাসকারী অধিকাংশ পরিবারেই আয় এখন ঊর্ধ্বমুখি, খরচের জন্য বাড়তি টাকা থাকছে প্রায় প্রত্যেকের হাতে। তাই বেশি খাওয়া, বিশেষত বাজার থেকে কেনা যে সব খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন, চিনি, ফ্যাট রয়েছে, তেমন খাবার খাওয়া আমাদের অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। নিম্নবিত্ত পরিবারেও দশ-বারো টাকার ইনস্ট্যান্ট ন্যুডল, চকোলেট বা কেক-চিপসের প্যাকেট কেনাটা সমস্যা নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা ঢুকে পড়ছে বাচ্চার দৈনিক খাদ্যতালিকায়৷

কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেদবাহুল্যের সমস্যা পারিবারিক সূত্রেও আসে। ঠিক যেভাবে মা বা বাবার চোখের তারা বা ত্বকের রং উত্তরাধিকার সূত্রে পায় সন্তান, তেমনভাবেই আসে বাড়তি ওজনের সমস্যাও। কিছু জিন শরীরকে বলে দেয় ঠিক কীভাবে খাবারের মেটাবলিজ়ম হবে, বা শরীর জমিয়ে রাখা খাবার বা ফ্যাট কীভাবে ব্যবহার করবে। এর খানিকটা পারিবারিক ডিএনএ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। যাঁদের পরিবারে ওবেসিটির সমস্যা আছে, তাঁদের শরীরে ফ্যাট বার্ন করার পদ্ধতিটা ধীর গতির হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওজন বাড়াটা যত তাড়াতাড়ি হয়, কমাতে গেলে তার চেয়ে অনেকটাই বেশি সময় লাগে।

নেফ্রোলজিস্ট ডা. শৈবাল রক্ষিত আরও কয়েকটি সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করছেন। ‘‘আজকালকার মেয়েরা কেরিয়ারের ব্যাপারে খুব সচেতন। অনেকেই তিরিশের পরে মা হন এবং গর্ভাধান পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়মিত কনট্রাসেপ্টিভ পিল গ্রহণ করেন। পিলের কারণেও ওজন বাড়তে পারে। হরমোনের সমস্যা, হাইপোথাইরয়েডিজ়ম বা কুশিং সিনড্রোম থাকলে বা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড খেলেও বাড়তি ওজনের সমস্যা হয়। জেনেটিক অথবা কনজেনিটাল কিছু সমস্যাও ওজন বাড়ার জন্য দায়ী হয় ক্ষেত্রবিশেষে। এমনকী হাইপোথ্যালামাসে কোনও আঘাত বা টিউমার থাকলেও রোগী বাড়তি ওজনের সমস্যায় ভুগতে পারেন। দীর্ঘদিন যাঁরা অ্যান্টি সাইকোটিক বা অ্যান্টি এপিলেপটিক ওষুধ খাচ্ছেন বা সুগারের ওষুধ নিচ্ছেন, তাঁদেরও ওজন নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই আমার পরামর্শ, বাড়তি ওজনের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা অতি অবশ্যই একবার ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। তিনিই বলে দেবেন ঠিক কী কারণে আপনার ওজন বাড়ছে এবং কোন পথে এগিয়ে গেলে সেই বাড়তি ওজনটা কমানো যায়।’’

লম্বা চুল পেতে চাইলে খানিকটা বাড়তি যত্ন নিতেই হবে চুলের।


লম্বা চুল পেতে চাইলে খানিকটা বাড়তি যত্ন নিতেই হবে চুলের। 

ঘরোয়া প্যাকে যেমন চুল পড়া বন্ধ হয়, তেমনি চুলের বৃদ্ধিও বাড়ে। জেনে নিন এমন কিছু প্যাক সম্পর্কে।

১. ডিমের সাদা অংশ চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২. সমপরিমাণ পেঁয়াজের রস ও নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। ১ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে।
৩. এক মগ পানিতে ২ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু শেষে এই পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল।

৪. নারকেল তেল গরম করে ম্যাসাজ করুন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত। ২ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে।
প্রতি টা প্যাক আপনি সপ্তাহে ২/১ বার ব্যবহার করতে পারেন.... 

Model Nazmee

Monday, July 6, 2020

আপনি কি জানেন?বাঘ ও সিংহের মিলনে জন্ম হয়.

আপনি কি জানেন?
বাঘ ও সিংহের মিলনে জন্ম হয় নতুন এক প্রজাতি যার নাম দেওয়া হয় #লাইগার।
লাইগার পুরুষ সিংহ (লায়ন) এবং স্ত্রী বাঘের (টাইগার) সংকরায়নে উৎপন্ন প্রাণী। লাইগার দেখতে বিশাল আকৃতির সিংহের মতো, যার শরীরে বাঘের গায়ের ডোরাকাটা দাগগুলো হালকাভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। লাইগার হচ্ছে সবচেয়ে বড় আকারের বিড়াল প্রজাতির প্রাণী। যদিও সাইবেরিয়ান বাঘকে বিশুদ্ধ প্রজাতি হিসেবে সবচেয়ে বড় প্রজাতির বাঘ ধরা হয়। সিংহ সাঁতার কাটতে না জানলেও লাইগার কিন্তু বাঘের মতো সাঁতার কাটতে পারে। 
দীর্ঘদিন বাঘ ও সিংহকে একসাথে রাখার ফলে এটি সম্ভব হয়। এই প্রাণীটির আচরণ বিড়ালের মতো এবং এটি মোটেও হিংস্র নয়। একটি বাচ্চাও লাইগারকে পোষতে পারবে।

স্কিপিং বা দড়ি লাফ করার আগে যা মনে রাখবেন

স্কিপিং বা দড়ি লাফ করার আগে যা মনে রাখবেন:

১. একটি ভালোমানের রোপ কিনবেন।
২. অনেক বলে যে, খালি পায়ে স্কিপিং ভালো। এতে পায়ের অনেক সমস্যাও ভালো হয়। কিন্তু হঠাৎ করে খালি পায়ে স্কিপিং করলে ব্যথা হতে পারে। তাই স্পোর্টস শু পরে স্কিপিং করাই শ্রেয়।
৩. মেয়েদের জন্য বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের জন্য ভালো মানের স্পোর্টস ব্রা পরে স্কিপিং করা উচিত।
৪. প্রথমে ধীরে ধীরে স্কিপিং করবেন এবং আস্তে আস্তে গতি বাড়াবেন  এবং লাফ দিয়ে বেশি উপরে উঠবেন না।
৫. সমান জায়গায় স্কিপিং করবেন। উডেন ফ্লোর হলে ভালো হয়।
৬. এটি একটি হাই ইনটেনসিটি ব্যায়াম তাই ওয়ার্ম আপ খুব জরুরী। প্রথমে ৫ মিনিট অবশ্যই ওয়ার্মআপ করবেন।
৭. যারা বিগিনার অল্প অল্প করে দিবেন আর রেস্ট নিবেন। আবার দিবেন। এইভাবে শুরু করেন। মাঝে মাজে পানি খাবেন। 

একটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিনঃ

স্কিপিং এর জন্য অনেকে প্রশ্ন করে কত ক্যালরি বার্ন হয়। এইটা আসলে ওজনের উপর আর স্পিডের উপর নির্ভর করে।

আপনি ১ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৩০০ ক্যালরি বার্ন  করতে
 পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে মিনিট ১২৫ টা দিতে হবে।তাহলে  ১ মিনিটে বার্ন হবে ২১ ক্যালরি প্রায়। সে হিসেবে আপনি ১০০০ দিতে পারলে ৮ মিনিট লাগবে। ৮ মিনিট হবে ১৬৫-১৭০ ক্যালরি। 

এইটা একটা এভারেজ হিসাব দেওয়া হল। ওজন আর স্পিডের উপর কম বেশি হবে।
কত কত না ভেবে শুরু করে দেন।

Saturday, July 4, 2020

সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না, জেনেনিন বাচার উপায়।

বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে। বাস্তবে নাচে না। সাপের কান নাই। শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়।

সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন, সে বুঝতে পারে। সাপের বুকের তলায় খোলসের রঙ আলাদা। সেখানে বিশেষ স্নায়ুতন্তু থাকে। মাটির কম্পন বোঝার জন্য। আপনি কতদুরে আছেন, আপনি সাইজে কতবড়, কম্পন দেখেই সে বুঝতে পারে। পালিয়ে যায়।

বেলি, হাস্নাহেনার গন্ধে কখনো সাপ আসে না। কেউকেউ জীবদ্দশায় বেলি, হাস্নাহেনা গন্ধরাজের তলায় সাপ দেখেছেন হয়তো। মনে রাখবেন, সাপের ঘ্রাণশক্তি খুবই দূর্বল। সে গন্ধ পায় না।

সুগন্ধি ফুলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয় বেশি। পোকা খেতে ব্যাঙ আসে। ব্যাঙ খেতে মাঝেমাঝে সাপ আসতে পারে। খাবার পর মানুষের মত সাপও ক্লান্ত হয়। মানুষ খাবারের পর যেমন আয়েশ করে ঘুমায় তেমনই সাপও বেলি-হাস্নাহেনার তলায় ঘুমুতে পারে। তবে এসব গাছ যদি বাড়ির ভেতর থাকে তবে সাপ কম আসে। কারণ মানুষের উপস্থিতি তারা ভয় পায়। তবে বাড়ির সাইডে, ঝোপঝাড়ে এমন গাছ থাকলে সাপ আসা স্বাভাবিক।

একটা সাপকে মারলে তার জোড়া সঙ্গী কখনোই আপনাকে খুঁজে দংশন করতে আসবে না। সাপের স্মৃতিশক্তি খুবই দূর্বল। সাপ বাংলা সিনেমার স্বর্পরাজ শাকিব খান কিংবা নাগিন মুনমুন নয়

 যে সঙ্গীহারার প্রতিশোধ নিতে ছুটে আসবে। সাপ নিম্নজাতের প্রাণি। এদের মধ্যে রিভেঞ্জ বলে কিছু নাই।

কিন্তু একটা সাপ মারার পর আরেকটা সাপ প্রায়ই একই স্থানে দেখা যায়, কারণ কী?

সিম্পল। মেটিং এর সময় তাদের পার্টনার আশেপাশে থাকতেই পারে কিংবা আশেপাশে গর্ত থাকলে তার বাচ্চাকাচ্চা কিংবা আরো সাপ উঠে আসতেই পারে। সে প্রতিশোধ নিতে আসেনি বরং ভুল করে গর্ত থেকে চলে এসেছে।

ছোট সাপের বিষ নাই। কথাটা ভুল। সাপের বাচ্চাও সাপ। কেঁচোর সমান একটা কেউটের কামড়ে আমার চোখের সামনে এক রোগীকে টানা ২৪ ঘণ্টা জীবনের সাথে ফাইট করতে হয়েছে। আইসিইউতে আমরা তিন ডাক্তার তার পাশে ২৪ ঘন্টা লড়েছিলাম। আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশন থেকে শুরু করে একাধিকবার অ্যান্টি-ভেনম দিয়েছি। সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে গেছে। যাবার আগে আমাদের গালিগালাজ করে গেছে। আমরা নাকি তাকে অনেক দামী ঔষুধ দিয়েছি। সে জানে না, একডোজ অ্যান্টিভেনমের দাম ১০ হাজার টাকা। লজিক্যালি লোকটার দোষ নেই। সে ছিল জেলে। দিনে হয়তো এক দেড়শ টাকা তার ইনকাম।

রাতে যারা বাজার থেকে অন্ধকারে ঘরে ফেরে তাদের এবং জেলেদের সাপ বেশি কাটে।

জেলেরা বর্ষায় রাতে আইল বরশি ফেলে, জাল ফেলে মাছ ধরে। নদী বা নালায় মাঝ ধরে। সাপ শুকনো ভেবে সেখানে থাকে। কামড় দেয়।

সিনেমা বলে, সাপ দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোলাঘরে হানা দেয়। ভুল কথা। এসব সাপ ক্ষেতের ব্যাঙ- পোকামাকড় খায়। কালো রঙ্গের দাড়াশ সাপ দেখি, এরা আমাদের উপকার করে। ফসল বাঁচায়। এদের না মারা উত্তম।

সাপে কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায়। কথাটা ভুল। ভুলেও এই কাজ করবেন না। ব্লেড দিয়ে কাটলেন তো বিষকে রক্তের সাথে নিজহাতে মিশিয়ে দিলেন।

দংশন করা সাপকে উল্টোকামড় দিলে বিষ ফেরত চলে যায় সাপের ভেতরে। কথাটা ভুল। পায়ে কাটলে বিষ সেখানে। আপনার মুখের দাঁতে তো বিষ নাই। কীভাবে ফেরত দিবেন?

সাপের বিষ তার দাঁতে থাকে না। সে যখন কামড় দেয় তার মুখের পেশিগুলো টানটান হয়ে যায়। দাঁতের কাছেই ঠাকে বিষধর। সেখান থেকে বিষ দাঁত বেয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে।

শক্ত করে বাঁধলে বিষ ছড়াতে পারে না এমন ধারনা ভুলে যান। আপনি নিজেও নিশ্চিত না সাপটা বিষধর ছিল কি না, তাহলে শক্ত করে বাঁধবেন কেন?

অনেক ডাক্তার সাপে কাটার পর বাঁধতে নিষেধও করেন। কারণ এতে হিতে বিপরীত হয়।

ফুটবলের অ্যাংলেট পায়ে দিলে যেমন আটসাট হয়ে থাকে এমন ভাবে গামছা বা শার্ট বা শাড়ি দিয়ে দংশনের কিছু উপরে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। বাঁধন অবশ্যই ঢিলা রাখবেন। দুট আঙ্গুল ঢোকে এমনভাবে ঢিলা করবেন। আবার খুব ঢিলাও না। ২০ মিনিট পরপর খুলে আবার লাগাতে পারেন। ভুলেও লোহার তার, সুতলি, কারেন্টের তার বা অন্য সরু জিনিস দিয়ে বাঁধবেন না। বাঁধলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হাতে-পায়ে পঁচন শুরু হবে। চিরতরে হাত বা পা খোয়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো আপনাকে বিষধর সাপ কাটেই নি অথচ আপনি ভয়ে গিট্টু দিয়ে হাত পা পঁচিয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন। কেমন হবে?

সাপ কাটলে কিন্তু আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট খুলে ফেলবেন। কিছু সাপের বিষে আপনার আঙ্গুল, হাত বা পা ফুলে যেতে পারে। আংটি বা চুড়ি থাকলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পঁচন ঘটতে পারে।

সাপ কখন দংশন করে?

১। যদি ভুলে আপনার মুখোমুখি হয় সে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিজে ভয় পেলে হিংস্র হয়। সব প্রাণিই এমন। মুরগীরও মাঝেমাঝে মানুষকে ঠোকর দেয়। সামনে সাপ পড়লে তাকে চলে যেতে দিন।

২। বর্ষাকাল মানেই হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী। বর্ষায় গর্তে পানি উঠে যায়। ফলে সাপ ডাঙ্গায়, শুকনো জায়গায় উঠে আসে। সেটা ক্ষেতের আইল, রাস্তা কিংবা আপনার ঘরের তোশকের তলা, বালিশের তলা, আলনার ভেতর, কাঠের স্তুপ যেকোন জায়গাতেই আসতে পারে।

৩। অন্ধকারে সাপের শরীরে পা পড়লে। জঙ্গলায় ভুলে তার শরীরে পা পড়লে কামড় দেয়।

৪। ইদুরের গর্তে সাপ থাকলে সেখানে পা রাখলে বা বসে থাকলে কামড় দিতে পারে। বাচ্চা ছেলেরা মাঝেমাঝে বসে গর্তের মুখে প্রস্রাব করে। সন্তানকে শিক্ষা দিন। এই কাজ যেন না করে।

সব সাপ বিষাক্ত?

বাংলাদেশে ৮০ ধরণের সাপ আছে। মাত্র ২৭ তা বিষাক্ত। অধিকাংশই সামুদ্রিক। মাত্র ৫/৬ প্রজাতি স্থলে আছে যারা বিষধর।

আপনার চোখের সামনে নিয়মিত যাদের ঘোরাফেরা দেখেন, তারা বিষাক্ত নয়। পানির সাপ অধিকাংশই বিষাক্ত নয়। তবে সামুদ্রিক সাপ সবাই বিষাক্ত।

যদি চেনেন তবে বলি গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়া বিষাক্ত।

সাপে কাটলে বুঝবেন কীভাবে?

দংশন করেছে এমন মনে হবার পর যদি সরাসরি সাপ দেখেন, তাহলে ভাবতে পারেন সে আপনাকে দংশন করেছে।

একবার এক ছেলে হাসপাতালে আসল। মাটির ঘরে অন্ধকারে হেলান দিয়ে ছিল। পীঠে সাপ কেটেছে। সারাদিন হাসপাতালে আমাদের অবজারভেশনে ছিল। রাতে রিলিজের আগে খবর আসল, যেখানে হেলান দিয়ে ছিল, সেখানে কে যেন তারকাটা পুতে রেখেছিল। পীঠে লেগে তারকাটা দেয়ালে ঢুকে যায়। খোচা লাগাকে সাপে কাটা ভেবে সে হাসপাতালে আসে। ২৪ ঘণ্টা ভয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফেরে সুস্থ অবস্থায়।

বিষাক্ত সাপে কাটলে বোঝা বেশ সহজ।

১। শিকারি পশুর মত সাপের দুটো দাঁত বড় থাকে। বাঁকানো। দংশন করলে গভীর ক্ষত হয়। দুঁটো দাঁতের অস্তিত্ব থাকলে ধরে নিতে পারেন, আপনাকে বিষাক্ত সাপ দংশন করেছে।

২। যদি অনেকগুলো দাঁত থাকে, সেখানে মাংস তুলে নিলেও ভেবে নিতে পারেন এটা ছাগলের মত। অনেক দাঁত কিন্তু বিষদাঁত নাই। আপনার কিছু হবে না।

৩। সাপের বিষ কয়েক ধরণের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে নিউরোটক্সিন রিলিজ করা সাপের কামড়ে। এক্ষেত্রে ঝিমঝিম লাগবে। চোখে ঝাঁপসা দেখবে। চোখের উপরের পাতা নেমে চোখ অংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। মাথা ঝুলে যাবে। জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাবে। শ্বাস নিতে পারবে না। মুখে লালা ঝরবে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বমি করতে পারে।

আরো নানাবিধ লক্ষণ আছে।

চন্দ্রবোড়া কামড় দিলে লোহিত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা হতে পারে। কামরের জায়গায় রক্ত ঝরতে পারে। ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। ফোস্কা পড়তে পারে। কালোও হতে পারে।

কিছু সাপের কামড়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে।

মাঝেমাঝে নির্বিষ সাপ কামড়েও মানুষ মারা যায়।কেন জানে?

ভয় পেয়ে হার্ট অ্যাটাক করে।

সাপে কামড়ে সিনেমায় গড়াগড়ি দেখেন, বিষের কারণে চেঁচামেচি দেখেন। এগুলো অভিনয়। সাপের বিষ নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, কেমন ব্যাথা বুঝিবে সে কীসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে... এইসব ভুলে যান। সাপে কাটা মানুষ খুব স্বাভাবিক থাকে শুরুতে। কোন ব্যাথা নাও থাকতে পারে। এমনকী মৃত্যু ঘটার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন ব্যাথা নাও বুঝতে পারে।

চিকিৎসা?

একদম ঘাবড়াবেন না। বেশি ঘাবড়ালেই বিষ বেশি ছড়াবে।

সাপেকাটা জায়গা ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে।

কাটবেন না ব্লেডে।

চুষে রক্ত বের করবেন, এমন চিন্তা ভুলে যান।

যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ালে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যায়। হাত একদম নাড়াবেন না। পায়ে কামড়ালে হাঁটবেন না।

সাপেকাটা স্থানে ভুলেও অ্যাসিড ঢালবেন না। মরিচের গুড়ো দিবেন না। কার্বলিক অ্যাসিডে ঝলসাবেন না। কোন ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাবেন না।

সাপটাকে পারলে চিনে রাখুন। ডাক্তারকে বললে চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। তবে ধরে যাবেন না। মেরেও ফেলার দরকার নাই।

মৃত সাপকে ধরতে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এরা মৃত্যুর ভান করে শুয়ে থাকতে পারে।

জীবিত ধরে ওঝার কাছে যাবেন, এমন চিন্তা থাকলেও ঝেড়ে ফেলুন। ওঝা সাপের বিষ নামাতে পারে না।

ওঝারা অনেক রোগী ভালো করে। যেগুলো আসলেই বিষাক্ত সাপের কামড় ছিল না। বিষাক্ত হলে একটা সময় বুঝতে পারে তখন নানা অজুহাত নাগ-নাগিনির কথা বলে এরা হাসপাতালে রোগী রেফার করে। আমরা হাসপাতালে অনেক পাই যারা একেবারে শেষ মুহুর্তে আসে। ওঝার কাছে গিয়ে জীবন খুইয়ে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি করে আসে।

বিষাক্ত সাপে কাটলে আপনি বাঁচতে পারেন একটামাত্র পথন অনুসরণ করলে। সেটা হল- দুনিয়ার কারো মতামত নিবেন না। সরাসরি হাসপাতাল যাবেন।

সাপে কাটলে এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে সরকারি বড় হাসপাতালে যান। রাসেল ভাইপারভ বাদে সব সাপেরই বিষের অ্যান্টিভেনম আছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন। [রাসেল ভাইপার বাংলাদেশে বিলুপ্ত সাপ। তবে রাজশাহীতে কয়েকবার নতুন করে পাওয়া গেছে। ফরিদপুরে পাওয়া গেছে কিছুদিন আগে। বন্যার জল-স্রোতে এরা আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে দেশময়]

যদি বুঝে ফেলেন, সাপতা বিষধর নয়, তাহলে কী করবেন?

তবুও হাসপাতালে যাবেন। ভর্তি হয়ে প্রয়োজনে বিছানায় ২৪ ঘন্টা বসে থাকবেন। তবুও হাসপাতালে যাবেন।

[নোটঃ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। সাপ মারবেন না। সাপ বাস্তুতন্ত্রের অংশ। ঘরে সাপ পাওয়া গেলে স্নেক রেস্কিউয়ারকে জানাতে পারেন। ওঝাদের জানিয়ে পরিবেশ থেকে এসব সাপ বিলুপ্ত  করবেন না। ওঝারা সাপ মেরে পুড়িয়ে তেল বানায়। সেই তেল বাত ব্যাথা- সাপের বিষ নামানো, হারানো যৌবন পুনরুত্থান নামক নানাকিসিমের মিথ্যা চিকিৎসায় ব্যবহার করে। তাদের এই কাজ করতে দিবেন না। কারণ দিনশেষে সেই সাপের তেল হয়তো আপনার আত্মীয়ই কিনে নিয়ে ব্যবহার করছে]

কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ পালায়?

সাপের ঘ্রাণ শক্তিই এত দূর্বল যে ফুলের গন্ধেও আসে না, তাহলে কার্বলিকে সাপ পালাবে কে বলল আপনাকে?

এসব সেইফটি এককালে প্রচলিত ছিল। এখন ব্যর্থ টোটকা।

বাড়িতে খড়ের গাদা, লাকড়ির স্তুপ থাকলে আপনার মা বা স্ত্রীকে সতর্ক করে দিন। খড় বা লাকড়ি নেবার আগে সেখানে লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ শব্দ করুন। সাপ থাকলে চলে যাবে।

রাতে বিছানা এমনকী বালিশের তলাও চেক করবেন। আলনার ভেতরে থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিতে যাবেন।

বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে ফেলুন। ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করে ফেলুন।

অনেকেই বলেন, মরিচপড়া দিয়ে ইদুরের গর্তের মুখে ধরলে সাপ চলে যায়। এ ব্যাপারে আমার জানা নাই। অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিতে পারেন।

বর্ষাকাল এসেছে। এখন সাপ আপনার বাড়িতে-ঘরে আশ্রয় নিতে আসতেই পারে। সাবধান থাকুন। অন্যদের সতর্ক করে রাখুন। গ্রামের আপন মানুষদের (বাবা-মা, বউ-বাচ্চা-বন্ধু) সাপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন।

সতর্ক থাকবেন-ভয় পাবেন না-অবহেলা করবেন না।

সবচেয়ে বড় প্রাণী কোনটি. Megalodon.. Carcharocles megalodon

বর্তমানে আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, সবচেয়ে বড় প্রাণী কোনটি?🤔 আপনি হয়তো বিনা দ্বিধায় উত্তর দিবেন তিমি। কিন্তু জেনে অবাক😲 হবেন যে, এই তিমিও এককালে এক সামুদ্রিক দানবের জল খাবার ছিল। প্রাণীটি আর কেউ নয়,আজ থেকে প্রায় ২৩ মিলিয়ন বছর আগে সাগরের অতলে বাস করা মেগালোডন হাঙর🙄 (বৈজ্ঞানিক নাম:- Carcharocles megalodon) । 
Megalodon কত বড় ছিল তার উত্তর পাওয়া যায় তার দাঁত দেখেই। তবে দাঁত এবং কশেরুকা ছাড়া আর কোন নমুনা পাওয়া যায়নি। একটি হিসাব মতে Megalodon লম্বায় গড়ে প্রায় ১০ মিটার থেকে ১৮ মিটারের কাছাকাছি। (Natural History Museum)।
ইউরোপ , আফ্রিকা, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের নানাপ্রান্তে  এর জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।☠️
বিশাল দাঁত দিয়ে সাগরে একক রাজত্ব করে গেছে তারা। ছোট মাছ 🎏 থেকে শুরু করে সীল , সামুদ্রিক কচ্ছপ, ডলফিন বা ঐ গোত্রের ছোট হাঙর , তিমি ছিল Megalodon এর নিত্যদিনের আহার । অধিকাংশ সময়  এরা শিকারের হৃদপিন্ড , ফুসফুস লক্ষ্য করে আক্রমণ করত । 
 সামুদ্রিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডাইনোসরের মতো এরাও বিলুপ্ত ।☠️

চমকে যাবেন এটা শুনে যে উড়তে পারে সাপ

আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়ত চমকে যাবেন এটা শুনে যে উড়তে পারে সাপ!‌ এমনিতেই মাটিতে সাপ চলে ফিরে বেড়াচ্ছে দেখলে ভয়ে অনেকের গলা শুকিয়ে যায়। এবার যদি কেউ দেখেন, আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে সাপ!‌ তাহলে আতঙ্কেই জ্ঞান হারানো নিশ্চিত!‌

বলা হচ্ছে, Chrysopelea paradisi নামে এক প্রজাতির সাপ সম্পর্কে সম্প্রতি আজব তথ্য প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। ভার্জিনিয়া টেকের পক্ষ থেকে একটি গবেষণা করে তারা দেখেছেন, এরা হাওয়ার মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করতে পারে। ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে এই সাপ মাটি থেকে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছে যেতে পারে। এসব সাপ শিকারও অনেক জটিল, যেহেতু এরা মুহূর্তে উড়ে যেতে পারে। তাই অন্যান্য সাপের তুলনায় এই সাপ বেশি আতঙ্কের ও ভয়ঙ্কর।

সিএনএন প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, এই ধরনের সাপ সাধারণত মাটি দিয়ে তো চলতে পারেই, সঙ্গে সঙ্গে নাকি উড়তে পারে। কিন্তু কীভাবে, তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানী আইজ্যাক ইয়েটন মনে করেন- এটি হাওয়ায় গ্লাইড করা বা ওড়ার শক্তি পায় নিজের শরীরকে কিছুটা ভাঁজ করে ডানার মতো করে নেওয়ার ফলে। ‌

The julida, জেনেনি এরা কি।

পুরোটা পড়ুন।
The Julida


এরা millipede পর্বের প্রানি এরা।
millipede অর্থ হাজার পদ বিশিষ্ট। 
এদের দেহের প্রতি খন্ডে 2জোড়া পা বিদ্যমান।অর্থাৎ এদের অনেকগুলো পা রয়েছে।
সব থেকে অবাক করা ঘটনা হলো এরা অনেক পরিষ্কার প্রানি।
এদের সামনের দুইজোড়া উপাঙ্গ সবসময় নিজেদের শরীর পরিষ্কারে নিয়োজিত থাকে।
এরা ডিম দেয়।পুরুষেরা শুক্রাণু ফেলে রাখে ও স্ত্রী মিলিপেড তা গ্রহন করে।
সাধারণত এরা মাটির গভীরে ডিম পাড়ে।
ডিম ফুটে বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত এরা ডিম রক্ষণাবেক্ষণ করতে থাকে। 
এরা দলবদ্ধ ভাবে থাকতে পছন্দ করে।

বি.দ্র. অনেক বাচ্চারা এটা খেয়ে ফেলে যা ঠিক না।কারন এরা তিতা স্বাদযুক্ত বিষাক্ত পদার্থ ক্ষরণ করে। 
আর এরা স্বচ্ছ ও পরিষ্কার প্রানি। আসুন অযথা এগুলো ঘৃণা না করি।

জোনাকি পোকা

বিষয় বস্তুঃ - জোনাকি!

Arthropoda পর্বের প্রাণী Fireflies বা জোনাকি। এরা গ্রামের বাড়ির আঙ্গিনায়, বাঁশ বাগান, ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। রাতের বেলা সক্রিয় হয় বলে জোনাকি নিশাচর পতঙ্গ। এরা জৈবিক কার্য সম্পাদনের লক্ষে আলো উৎপাদন করে এবং এদের দেহে আলো উৎপাদনকারী কোষ বা Photocyte থাকে। 

জোনাকি পোকার উৎপাদিত আলোর কাজ ( Functions of Light Producing by fireflies)

* জোনাকি এক লিঙ্গ প্রাণী। প্রজননের পূর্বে পূর্বরাগ বা বিপরীত লিঙ্গের পতঙ্গকে যৌন্ন প্রজননের জন্য উদ্দীপ্ত করা।

* কিছু জোনাকি শিকার ধরার লক্ষ্যে আলো উৎপাদন করে। 

* নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার কাজেও জোনাকি আলো উৎপাদন করে। 

* আলোর তীব্রতার উপর ভিত্তি করে কিছু প্রজাতির লিঙ্গ নির্ণয় করা যায়।

আলো উৎপাদনের মাধ্যমে জোনাকি অন্তঃ বা আন্তঃপ্রজাতিক সম্পর্ক বা যোগাযোগ প্রদর্শন করে, যার স্বতন্ত্র গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। বিধায় সাহিত্যিকগণের সাহিত্যে জোনাকি পোকার উপস্থিতি লক্ষণীয়।